ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

এক পাশে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি

খোঁড়াখুঁড়ির ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক

পটিয়া প্রতিনিধি ::  চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক। মহাসড়কের সোল্ডার বা একপাশে ওয়াসার নতুন প্রকল্পের কাজ শেষ করা ভরাট অংশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিবহন দেবে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে রাস্তায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত ও যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া পটিয়ার শান্তির হাট, কুমুমপুরা চিলা শাহ মাজার এলাকা, বাদাম তলা, নিমতলা মাজার এলাকা, জঙ্গলখাইন, আমজুর হাট, বাস স্টেশন, কমলমুন্সির হাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক থেকে রাস্তার পাশ নিচু হয়ে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

অপরদিকে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে প্রশস্ততা ছোট–বড় থাকায় দ্রুতগামী পরিবহনগুলো একটি অন্যটিকে সাইড দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে মহাসড়কটির পটিয়া অংশে কোথাও ১৮ ফুট, কোথাও তার চেয়েও ছোট, আবার কোথাও ২৫ ফুট প্রশস্থতা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ছোট–বড় গাড়ি চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন পরিবহন মালিক–শ্রমিক ও সচেতন মানুষ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ দোহাজারী সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে পটিয়া হয়ে দোহাজারী পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্থ করণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রজেক্টটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজল (ডিপিপি) হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে ব্যয় হবে ৩২৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত প্রজেক্টটি পরিকল্পনা কমিশন থেকে ডিপিপি অনুমোদনের পরে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটিতে সড়কের প্রশস্থতা ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত করণ ও বাক সরলী করণের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ দোহাজারীর নির্বাহী প্রকৌশলী সৌমেন সিংহ জানান, ওয়াসার ভাণ্ডাল জুড়ি প্রকল্পে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেভাবে খোঁড়াখুঁড়ি করেছে তার জন্য মহাসড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, ওয়াসা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী রাস্তার পাশে শেষ প্রান্তে গিয়ে তারা পাইপ লাইনের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করবে। কিন্তু এটা না করে তারা মহাসড়কের পাকা অংশের পাশ ঘেঁষে খোঁড়াখুঁড়ি করার ফলে সড়কটি ব্যাপক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

তিনি আরো জানান, মহাসড়কের বর্তমানে দেবে যাওয়া অংশে ইট ও বালি দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়। স্বাভাবিকভাবে সড়কের কোথাও দেবে গেলে আশপাশের ৩শ মিটার দেবে যায়। কারণ সড়কটি পুরোটায় একটি লেয়ার। যার কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশ দেবে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন।

পাঠকের মতামত: